বঙ্গীয় কলা বিদ্যালয়

মানবসভ্যতার প্রাক প্রস্তরযুগ থেকে শবের সৃষ্টি। শব্দের মাধ্যমেই একে অপরকে মনের ভাব প্রকাশ ও বোঝানো। সেই শব্দ কখনও কর্কশ, কখনও গুরুগন্তীর কখনও বা সুরেলা। তাই ধ্বনি বা শব্দই সঙ্গীত সৃষ্টির মূলমন্ত্র বিশ্বপ্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যে সঙ্গীতের সুর অজান্তেই বেজে চলেছে, তা আমাদের কাছে সহজেই অনুভূত হয়।ধরা পড়ে। বিশ্বপ্রকৃতির সৃষ্টির উালগ্নেই সঙ্গীতের সৃষ্টি। আর তারই ধারক ও বাহক হল এই সুসভ্য মানব সমাজ। যাস্ত্িক সভ্যতার যুগে যেখানে সনাতনধর্মী মানব সভ্যতা প্রায় দিশেহারা তখন তাকে রক্ষর একমাত্র মাধ্যম হল সঙ্গীত। আর তারই মাধ্যমে যেমন বাঁচার তেমনি বাড়ারও রসদ পাওয়া যায়। সঙ্গীত হল শ্রেষ্ঠ মাধ্যম যার সাহায্যে ভগবৎ দর্শন হয়, মুক্তি ও মোক্ষ লাভ হয়। বর্তমান মানব সমাজ সমস্যায় জর্জরিত ও দিশেহারা । নিজেদের স্বকীয়তাকে দিন দিন হারাতে চলেছে। আমরা যে “অমৃতস্যপূত্রাঃ” তা অজান্তেই অজ্ঞাত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের নিজ্ব মনের সুকুমার বৃত্তিগুলির দ্বার উন্মোচন করার জন্য বঙ্গীয় কলা বিদ্যালয় একটি সার্থক ও সুদৃঢ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যাতে তারা পরবর্তীকালে বিদেশীয়ানার কাছে নিজেদেরকে না সঁপে দেয়। তারই জন্য নাচ, গান, আবৃত্তি, আঁকা ইত্যাদি তার মধ্যে নিজেদেরকে নিজস্বতাকে যাতে খুঁজে পায়। হারিয়ে না যায়। তারই সার্থক রূপায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ মরণশীল। অনিত্য এই সংসারে সবই পরিবর্তনশীল। এই পরিবর্তনশীলতার মধ্যে নিজেদের ধরে রাখা সত্যই কঠিন। এই কাঠিন্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল মানসিক কাঠামোকে ঠিক রাখা। মনের সাথে শরীরের যোগ নিবিড় তাই শরীর ও মন দুইই ঠিক রাখতে গেলে সঙ্গীতচর্চা একান্তভাবে প্রয়োজন। এর বৈজ্ঞানিক ভিন্তি রয়েছে। গান, নাচ, ছবি জীকা, ইত্যাদির মধ্য দিয়ে মানসিক চাপ কমাতে পারি। তার ফলে যেমন হৃদরোগ এড়ানো সম্ভব তেমনি পাশাপাশি সৃজনশীল কিছু করা যায়। এর মধ্য দিয়ে দৈহিক, সামাজিক, আর্থিক, মানসিক তৃপ্তি লাভ সম্ভব হয়। “বঙ্গীয় কলা বিদ্যালয় ও কেন্দ্র” বর্তমান যন্ত্র সভ্যতার যুগে এই সকল বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তার প্রতি দৃষ্টি রেখে সার্বিক মানব কল্যাণের, শিল্প ও শিল্পীকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়ার উদ্দেশ্যের প্রতি সর্তক দৃষ্টি রেখে পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানের “শিল্পী সমাজ” অত্যন্ত দুঃস্থ, আর্থিক ভাবে দুর্বল। তাই তাদের শিল্পকর্ম যাতে বিদেশের বাজারে বিক্রয়ের মাধ্যমে কিছু আর্থিক সহায়তা করা যায় তার প্রতি “বঙ্গীয় কলা বিদ্যালয় ও কেন্দ্র” দৃষ্টি রাখছে। এই “বঙ্গীয় কলা বিদ্যালয়” পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক নিবন্ধীকৃত এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কতৃক অনুমোদনাপক্ষারত এর উদ্দেশ্যগুলি হল

  • পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে শিক্ষণরত বিভিন্ন সঙ্গীতালয়/চারুকারুকলা শিক্ষালয় গুলিকে অনুমোদিত পাঠ্যক্রমানুসাপেক্ষে অনুমোদন দান।
  • অনুমোদন কেন্দ্রগুলিতে পাঠরত শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা গ্রহণ।
  • পরীষ্ষায় উত্র্ণ সমস্ত ছাত্র/ ছাত্রীকে প্রতি বংসর অভিজ্ঞান পত্র / উপাধিপত্র প্রদান করা।
  • চার/ কার শিল্পের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা ও বিদেশে যাতে প্রচার/প্রসার হয় তার ব্যবস্থা করা।
  • জ্ঞানী-গুনীজনের সন্বদ্নার ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার জন্য কেন্দ্র থেকে সহযোগিতা করা।
  • লোকসঙ্গীত (প্রাটান), লোকনৃত্যের গবেষণা ও গবেষকদের বৃত্তি দান।
  • নাট্যব্যক্তিত্বদের সহযোগিতায় পাঠকের প্রশিক্ষণ।
  • সৌন্দর্যযতত্রের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞান প্রদান।
  • মান্টিমিডিয়ার প্রশিক্ষণ প্রদান।
  • পুরোনো ছবির সংরক্ষন সম্বন্ধে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা।
  • শিক্ষক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা।
  • দুঃস্থ শিল্পীদের আর্থিক অনুদান প্রদান করা।
  • আত্যন্তরীন সঙ্ভার' বাহ্যিক ও আদিকের শিক্ষাদান।
  • বাৎসরিক অনুষ্ঠান ও সকল বেন্দ্রাধ্যক্ষগণকে আমন্ত্রণ ও তাদের মতামত জানা বা জানানোর ব্যবস্থা করা।

১৯৯৮ সাল থেকে বঙ্গীয় কলা বিদ্যালয় ও কেন্দ্র যে সুবিশাল কর্মকাণ্ডে ব্রতী হয়েছিল তা আপনাদের (কেন্দরাধ্যক্ষ) সকলের আন্তরিক ও সার্বিক প্রচেষ্টায় সফল বলা যেতে পারে। সারা ভারতবর্ষে অর্থাৎ সারা বাংলার প্রতিটি কোণে এই বিদ্যালয় ছারা অনুমোদিত শিক্ষালয় রয়েছে। “ বঙ্গীয় কলা বিদ্যালয় ও কেন্দ্র” এর এই সার্বিক সাফল্যের জন্য শান আত বশ)ব বান ও অভিনন্দন জানা 1 তাদের এ ঝা।গাঙা ছাড়া আমাদের সাফল্য আসত না। এই পাঠ্যক্রম অনুসারে ছাত্রছাত্রীরা পাঠাভ্যাসের ফলে উপকৃত হলে আমরা ধন্য হব। এবং পাঠ্যক্রমের বিচ্যুতি ও পরিবর্তন সম্বন্ধে কোন উপদেশ পরা অনুনোধ সানা গৃহীত হবে পরিশেষে বদের অন্ত পরিতামে এই দুরহ কাজ